পদ ব্যাকরণ বাক্যে ব্যবহৃত প্রত্যেকটি শব্দই এক একটি পদ। বাংলা ব্যাকরণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো পদ, যার সাথে আমরা সকলই একদম ছোটবেলা থেকেই পরিচিত। পদ ও পদ-প্রকরণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আজকের এই ক্লাসে।বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা যেমন – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি ইউনিট, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বিসিএস সহ নানা চাকরি পরীক্ষায় আসার জন্য পদ অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
Table of Contents
পদ ব্যাকরণ
ব্যাকরণ শাস্ত্র, পদ হচ্ছে একটি ভাষার রূপতত্ত্বগত শ্রেণীবিভাগ, যা সেই ভাষার বাক্যের নির্মাণ পদ্ধতি ও শব্দের সনাক্তকরণ, বিশ্লেষণ এবং অন্যান্য ভাষাগত গঠনের বর্ণনা করে। শব্দ যখন বাক্যে ব্যবহৃত হয় তখন তাকে পদ বলে। বাক্যে ব্যবহৃত প্রতিটি শব্দকেই এমন ভাবে বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করা যায়, যার জন্য প্রতিটি শব্দের মধ্যে সম্পর্ক ও তাদের অর্থ সৃষ্টি করে। বিভিন্ন ভাষায় বিশেষ্য পদ ও ক্রিয়াপদ প্রায়শ ব্যবহৃত পদ। কিন্তু এর পরেও বিভিন্ন ভাষায় উল্লেখযোগ্য পার্থক্য আছে। উদাহরণস্বরূপ, জাপানি ভাষায় তিন প্রকারের পৃথক বিশেষণ পদ আছে। সেই তুলনায় বাংলা ও ইংরেজিতে বিশেষণের কোনো পার্থক্য নেই।
ইতিহাস
ভাষাবিজ্ঞানের ইতিহাসের প্রারম্ভিক পর্বেই পদ বিষয়ক আলোচনার প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রাচীন ভারতীয় ভাষাবিদ যস্ক তাঁর নিরুক্ত গ্রন্থে খ্রিস্টপূর্ব ৫ বা ৬ সালে সংস্কৃত পদ নিয়ে আলোচনা করেন। নিরুক্ত গ্রন্থটি থেকে সেসময় সংস্কৃত ব্যাকরণে ব্যবহৃত ৪ টি পদ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এটিই ছিল উপমহাদেশে সর্বপ্রথম পদ-বিষয়ক আলোচনার দলিল।
- নাম পদ
- আখ্যাত পদ
- উপসর্গ পদ
- নিপাত পদ
প্রকারভেদ
বাংলা ব্যাকরণে পদ মূলত ২ প্রকার হলেও সাধারণ ভাবে পদ ৫ প্রকার। কিন্তু আধুনিক প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ অনুসারে পদ ৮ প্রকার।
পদ মুলত ২ প্রকার:
- সব্যয় পদ
- অব্যয় পদ
সব্যয় পদ চার প্রকার:
- বিশেষ্য
- বিশেষণ
- সর্বনাম
- ক্রিয়াপদ
সম্মিলিত শ্রেণীবিভাগ
উভয় মূল মিলিয়ে পদ মুলত ৫ প্রকার। যথা:
- বিশেষ্য
- বিশেষণ
- সর্বনাম
- ক্রিয়াপদ
- অব্যয়
কিন্তু সাধারণ ব্যাকরণিক শ্রেণিবিভাগ অনুযায়ী অব্যয় পদটি একাধিক ভুমিকা পালন করে।

আধুনিক শ্রেণীবিভাগ
পদান্বয়ী অব্যয় অনুসর্গ রুপে কাজ করে, সমচ্চয়ী অব্যয় পদটি সংযোজক হিসেবে কাজ করে এবং অনন্বয়ী অব্যয় পদটি আবেগবাচক শব্দের ভুমিকা পালন করে। আবার ক্রিয়াবিশেষণকে বিশেষণের একটি অংশ মনে করা হয়। কিন্তু সেটা সম্পূর্ণ আলাদা শব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার যোগ্যতা রাখে। তাই, প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ অনুসারে শব্দ আট প্রকার। যথা:
- বিশেষ্য
- বিশেষণ
- সর্বনাম
- ক্রিয়াপদ
- ক্রিয়াবিশেষণ
- আবেগসূচক পদ
- সংযোজক পদ
- অনুসর্গ
পদ ব্যাকরণ নিয়ে বিস্তারিত ঃ
আরও পড়ূনঃ