আজ আমাদের সংবাদ আপডেটের প্রথম শিরনাম : চিরপরিচিত লোগো বদলে গেল নকিয়ার। এছাড়া আরও অনেক খবর আজ আপনাদের দিয়ে যাব। আমরা আপনাদের সবাইকে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার গুরুকুল নিউজ আপডেটে স্বাগত জানাই।
এই সপ্তাহের প্রধান খবরঃ
- তুরস্কে ভূমিকম্প: তুষারে লিখে সাহায্য প্রার্থনা
- চিরপরিচিত লোগো বদলে গেল নকিয়ার
- পাকিস্তানের অধোগতি কি শিক্ষা নিতে হবে বাংলাদেশের
- বিশ্ব দেখছে নতুন এআই, নাম ‘ চ্যাটজিপিটি ’
Table of Contents
চিরপরিচিত লোগো বদলে গেল নকিয়ার
তুরস্কে ভূমিকম্প: তুষারে লিখে সাহায্য প্রার্থনা
তুরস্কে ভূমিকম্পে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতিকে শতাব্দীর মধ্যে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল কাহরামানমারাস শহর। ভয়াবহ ভূমিকম্পে দৃশ্যত এই শহর মাটির সঙ্গে মিশে যায়। সেখানে যা ঘটেছে, অনেক চলচ্চিত্রের সঙ্গেও মিলে যায়। তবে শুধু মিলে যাওয়া নয়, ঠিক চলচ্চিত্রের মতো ঘটনাও ঘটেছে সেখানে।
ভূমিকম্প আঘাত হানার পর কাহরামানমারাসের প্রত্যন্ত একটি গ্রাম বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তুরস্কের সংবাদমাধ্যম হুররিয়েত ডেইলি নিউজ–এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমিকম্প আঘাত হানার পর গ্রামটিতে এক বয়স্ক দম্পতি পরিবারের দুই শিশুকে নিয়ে আটকা পড়েন। একপর্যায়ে পা দিয়ে তুষারের ওপর বড় অক্ষরে ‘ইয়ারদিম এত’ লিখে রাখেন তাঁরা। বাংলায় এর অর্থ দাঁড়ায় ‘সাহায্য চাই’। উদ্দেশ্য ছিল, প্রত্যন্ত অঞ্চলে সাহায্য নিয়ে যাওয়া হেলিকপ্টারের দৃষ্টি আকর্ষণ।
পাইলট বলেন, ‘তাঁদের ঘর অক্ষত ছিল, কিন্তু তাঁরা ছিলেন বিধ্বস্ত। বাকি জীবনে আমি এ ঘটনা ভুলতে পারব না। এভাবে “সাহায্য চাই” লিখতে আমি চলচ্চিত্রে দেখেছি।’
চিরপরিচিত লোগ বদলে গেল নকিয়ার
একসময় মুঠোফোনের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ছিল নকিয়া। স্থায়িত্বের কারণে আবালবৃদ্ধবনিতা সবার কাছেই ছিল তার কদর। কিন্তু স্মার্টফোনের জগতে তেমন সুবিধা করতে না পারায় একসময় হারিয়ে যায় জনপ্রিয় এই মুঠোফোন ব্র্যান্ড।
পরে এইচএমডি গ্লোবালের হাত ধরে মুঠোফোনের বাজারে আবার প্রবেশ করে নকিয়া। কি-প্যাডযুক্ত ফিচার ফোনের সঙ্গে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের হাত ধরে বাজার ধরার চেষ্টা করে তারা। কিন্তু তাতেও শিকে ছেঁড়েনি তাদের। এবার সেই ধারা থেকে বেরিয়ে নতুন কিছু করার প্রত্যয় জানাল তারা।
আগে নীল রঙের যে লোগোটি ব্যবহার করত নকিয়া, তা আর থাকছে না। নতুন লোগোতে দেখা যাচ্ছে, পাঁচটি আলাদা আকার মিলে নকিয়া শব্দটি তৈরি হয়েছে। নকিয়ার প্রধান নির্বাহী পেক্কা লুন্ডমার্ক বলেছেন, এখন নকিয়া একটি ব্যবসায়িক প্রযুক্তি কোম্পানি, নিছক মুঠোফোন উৎপাদনকারী নয়। নতুন সেই ধারণা ছড়িয়ে দিতেই নতুন লোগোর ব্যবহার।
মুঠোফোন বিক্রিতে দীর্ঘদিন শীর্ষস্থান ধরে রেখেছিল নকিয়া। সেই জায়গা থেকে ছিটকে যাওয়ার পরে কার্যত আর সেখানে ফিরতে পারেনি নকিয়া। তাই এবার এমন ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে চাইছে তারা, যা তাদের আবারও বিশ্বের এক নম্বর জায়গায় নিয়ে যেতে পারে। সেই জায়গা দখলের কথাই উঠে এসেছে পেক্কার কথায়।
পাকিস্তানের অধোগতি কি শিক্ষা নিতে হবে বাংলাদেশের
শুধু প্রতিষ্ঠানের ভিন্নতায় উত্তর কোরিয়ার সিংহভাগ মানুষ দারিদ্র্যে জর্জরিত। দেশটি এক উগ্র সামরিক শক্তির আস্তানা। আর তাদেরই সহোদর দক্ষিণ কোরিয়া এক আধুনিক উন্নত রাষ্ট্র। জাতিসত্তা একই রকম, সংস্কৃতিও সে রকম। পার্থক্য দুই দেশের নেতৃত্বে। দক্ষিণ কোরিয়া ১৯৬০ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে সব প্রতিষ্ঠান গড়েছে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের আদলে। এর ফলে ওদের মাথাপিছু আয় এই সময়ে বেড়েছে ২০ গুণ, যা বিশ্বে বিরল। আর উত্তর কোরিয়া নজর দিয়েছে যুদ্ধ ও সামরিক শক্তি বৃদ্ধির দিকে।
পাকিস্তানের দুরবস্থায় আমাদের খুব উল্লসিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। বরং সতর্ক হতে হবে যেন কোনো প্রতিষ্ঠান সর্বগ্রাসী হয়ে না পড়ে। মেক্সিকোকে খেয়ে দিয়েছে ওদের ড্রাগ কার্টেল, ইতালিকে মাফিয়া, আর পাকিস্তানকে মিলিটারি। আগ্রাসী খেলাপি ও টাকা পাচারকারী গোষ্ঠীর বল বৃদ্ধির সঙ্গে কোথায় যেন এই কার্টেল ও মাফিয়াদের একটা মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
এরা সব প্রতিষ্ঠান যেভাবে দখল করছে ও যে কায়দায় নীতিনির্ধারক কিনে নিচ্ছে, তাতে বাংলাদেশের যথেষ্ট ভীত ও সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। পাকিস্তান থেকে কিছু না শিখতে চাইলেও পাকিস্তানের পরিণতি থেকে আমরা যেন শিক্ষা নিই এবং সময় থাকতে সতর্ক হই।
বিশ্ব দেখছে নতুন এআই, নাম ‘ চ্যাটজিপিটি ’
এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দিকে ঝুঁকছে টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় এআই চ্যাটবট হচ্ছে চ্যাটজিপিটি। এটি চালু করেছে ওপেনএআই। ওপেনআই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি কোম্পানি, যার একজন প্রতিষ্ঠাতা হলেন ধনকুবের ইলন মাস্ক।
আপাতত পাবলিক টেস্টিংয়ের জন্য এটির ব্যবহার উন্মুক্ত করা হয়েছে। এরইমধ্যে ইলন মাস্কের এই চ্যাটবুটে ব্যবহারকারীর সংখ্যা এক মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। যা হয়েছে চ্যাটজিপিটি উন্মুক্ত করার মাত্র এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে। পরিসংখ্যান বলছে মাত্র ৫ দিনে ১০ লাখ ব্যবহারকারী রেজিস্ট্রেশন করেছে এই চ্যাটবট প্লাটফর্মে।
আরও দেখুনঃ